User:Charandwip darbar sharif/Sample page
হযরত মাওলানা শাহসূফী শেখ অছিয়র রহমান আল ফারুকী চরণদ্বীপি মাইজভান্ডারী (কঃ)
[edit]চরণদ্বীপ দরবার শরীফ, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম
[edit]গাউসূল আজম হযরত শাহসূফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ)'র প্রথম ও প্রধান খলিফা সিদ্দীকে গাউসূল আজম সুরতে শেখলে গাউসূল আজম হযরত মাওলানা শাহসূফী শেখ অছিয়র রহমান আল ফারুকী (কঃ)'র দরবার চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চরণদ্বীপ দরবার শরীফ নামে সুপরিচিত।
[edit]জন্ম বৃত্তান্তঃ
[edit]বিলবেরাছতে গাউসূল আজম সুরতে শেখলে গাউসূল আজম কুতুবুল আকতাব হাযত রাওয়া মুশকিল কোশা হযরত মাওলানা শাহসূফী শেখ অছিয়র রহমান আল ফারুকী (কঃ) ১২৭০ হিজরী মোতাবেক, ১২৫৯ বাংলা ৭মাঘ, ১৮৫২ সালের ২১ জানুয়ারী শেখ মুহাম্মদ মাজম আলী ফারুকী ও মোছাম্মৎ জয়নাব বিবির ঘর আলোকিত করে এ পৃথিবীতে শুভাগমন করেন।
ছাত্রজীবনঃ
[edit]চার বছর বয়সে মাওলানা শাহে চরণদ্বীপির আব্বাজান তাঁকে স্থানীয় মক্তবে প্রেরণ করেন। ১২৮০ হিজরী সনে দশ বছর বয়সে খরণদ্বীপ নিবাসী জনাব মৌলানা সৈয়দ আতহার আলী ছাহেবের নিকট জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে গমন করেন। এরপর মাওলানা শাহে চরণদ্বীপি ১২৮৫ হিজরী সনে চট্টগ্রাম সরকারি মাদ্রাসায় জামায়াতে পাঞ্জুমে ভর্তি হন। ১২৮৯ হিজরী সনে রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসার জামায়াতে উলায় ভর্তি হন। এর কিছুদিন পরে তিনি কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় গিয়ে জামায়াতে উলার পাঠ চালিয়ে যান। ১২৯০ হিজরী সনে জামায়াতে উলা কৃতিত্বের সহিত উর্ত্তীণ হয়ে হাদিস শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। ১২৯৫ হিজরী সনে মাদ্রাসার শেষ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত উর্ত্তীণ হয়ে হাদিস, তফসির, কালাম, আকায়েদ, ফিকাহ, নাহু,ছরফ, বালাগাত ইত্যাদি বিষয়ে প্রভৃত জ্ঞান অর্জন করেন।
বেশারতে রাসূলে করিম (দঃ)
[edit]মাওলানা আকদছ শাহে চরণদ্বীপি (কঃ) ১২৯৬ হিজরী সনে আলীগড় জামেয়ুল উলুম মাদ্রাসার প্রভাষকের পদে নিযুক্ত হয়ে শিক্ষা দানে মনোনিবেশ করেন। দুই বছর শিক্ষাদানের পর একদিন রাসূলে করিম (দঃ) সপ্নযোগে তাঁকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে গাউসূল আজম হযরত কেবলা মাইজভান্ডারীর সোহবতের ইঙ্গিত দেন। মাওলানা শাহ চরণদ্বীপি আল্লাহ তা’আলার দরবারে শোকরিয়া আদায় করেন এবং ১২৯৮ হিজরী সনে স্বদেশ প্রত্যাগমন করেন।
গাউসূল আজম মাইজভান্ডারীর খেলাফত লাভঃ
[edit]
গাউসূল আজম মাইজভান্ডারীর কাছে বায়াত হওয়ার পর থেকে জনাব মৌলানা আকদছ শাহ চরণদ্বীপি (কঃ) আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। দিন দিন মৌলানা আকদছ শাহ চরণদ্বীপি (কঃ) এর রিয়াজতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। অতঃপর মৌলানা আকদছ শাহ চরণদ্বীপি (কঃ) হযরত গাউসূল আজম মাইজভান্ডারীর বেলায়তি গুণ বিশিষ্ট রুহের যাবতীয় আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করেন এবং ফয়েজে এত্তেহাদীর বদৌলতে হযরত কেবলার দেহের সম্পূর্ণ আকৃতি ও রুপ লাবণ্যের পূর্ণ সাদৃশতা হাসিল করেন। এমনকি হযরত গাউসূল আজম মাইজভান্ডারীর পৌত্র হযরত শাহসূফী সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী হযরত গাউসূল আজম মাইজভান্ডারীর জীবনী গ্রন্থে বর্ণণা করেন - তিনিও প্রায়শই হযরত গাউসূল আজম মাইজভান্ডারী ও মৌলানা আকদছ শাহ চরণদ্বীপি (কঃ) এর মধ্যে পার্থক্য করতে বিভ্রত হয়তেন।
গাউসূল আজম হযরত কেবলা মাইজভান্ডারী ১৩০০ হিজরী সনে আপন মোবারক চাদরখানা মাওলানা শাহ চরণদ্বীপির (কঃ) এর আপাদমস্তকে পরাইয়ে দিয়ে তাঁর প্রথম ও প্রধান খলিফার পদে অভিসিক্ত করলেন।
মাওলানা শাহ চরণদ্বীপি (কঃ)'র শানে হযরত গাউসুল আজম মাইজভান্ডারীর কালামঃ
[edit]
১. আমার দুটি চক্ষু একটি শাহ অছিয়র রহমানকে আরেকটি শাহ গোলামুর রহমানকে দিয়েছি।
২. তোমারা মদিনা শরীফ যাও নাই কেন? মক্কা শরীফ গিয়ে হজ্ব করলে হজ্ব হয়না মদিনা শরীফ যাইতে হয়। তাঁহাতে আল্লাহ রাজী হয়। আমি যার মওলা শাহে চরণদ্বীপি তাহার মদিনা। তোমরা মদিনা দর্শন কর। সেখান এ আমাকে পাইবে।
৩. তোমাকে (শাহে চরণদ্বীপিকে) আবু বকর সিদ্দীকের আসন দেওয়া হয়েছে।
৪. তুমি বাদশার পুত্র বাদশাহ, গাউসূল আজমের পুত্র গাউসূল আজম।
৫. আমি মাইজভান্ডারে ডুব দিয়া কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণ তীরে উঠেছি। সেথায় চরণদ্বীপ গ্রামে একখানা মসজিদ নির্মাণ করেছি। আমার মসজিদের ইমাম হযরত আলী(রঃ)। তোমরা আমাকে সেখানে দেখতে পাইবে।
৬. আমি চরণদ্বীপ দরবারে একটি কল বসাইছি। আমার সেই কলে মানুষ আটক হয়। জ্বীন পরী আটক হয়।
৭. আমি সর্ণ তৈয়ার করিনা পরশমনি তৈরি করি। আমি মৌলানা শাহে চরণদ্বীপিকে পরশমনি করেছি। আমার সেই পরশমনি স্পর্শ করলে দস্তা তামা শিশা মানব দানব সব সোনা হয়ে যায়।
৮. আমার তিনটি চাদর একটি শাহ অছিয়র রহমানকে আরেকটি শাহ গোলামুর রহমানকে দিয়েছি । আরেকখানা চাদর আমার নিজের কাছে আছে।
৯. হযরত রাসূলে করিম (সঃ) যে চাদর হযরত আলী (রঃ) নিজের জীবন উতসর্গ করার বিনিময়ে পেয়েছেন, ঐ বেলায়তি চাদর মোবারক আমার নিজ হস্তে মৌলানা শাহ চরণদ্বীপিকে পরিয়ে দিয়েছি।
১০. আমাকে দেখিতে যদি প্রবল ইচ্ছা হয়, তাহলে চরণদ্বীপ দরবার শরীফে গিয়ে আমাকে দেখ। সেখানে আমার দর্শন পাইবে।
ওফাতঃ
[edit]১৯২০ সালের ২৯শে আগষ্ট, হিজরী ১৩৩৮ সনের ১২ জ্বিলহজ্ব, বাংলা ১৩২৭ সনের ১২ ভাদ্র শনিবার সকাল ৮ ঘটীকার সময় বাবাজান কেবলা শাহে চরণদ্বীপি মহান আল্লাহর জাতে পাকে শুভ মিলনে এই পৃথিবী ত্যাগ করেন।
পুর্ণাঙ্গ জীবনী ও কারামতঃ
[edit]গাউসূল আজম মাইজভান্ডারীর প্রথম ও প্রধান খলিফা সিদ্দীকে গাঊসূল আজম সুরতে শেখলে গাউসূল আজম হযরত মাওলানা শাহসূফী শেখ অছিয়র রহমান আল ফারুকী চরণদ্বীপি (কঃ) এর জীবনী ও কারামত গ্রন্থ পড়তে গুগল প্লে স্টোর হতে চরণদ্বীপ দরবার শরীফের এপস ডাউনলোড করুন।