Jump to content

User:Raihan Rashid Chowdhury

From Wikipedia, the free encyclopedia

The Man With Unconditional Love

রায়হান রাশিদ চৌধুরী

রাতজাগা মানুষগুলো কেন জানি খুব উদ্ভট আর অদ্ভূৎ হয় I সারারাত চিন্তায় নিমগ্ন থাকে আর অতীতের ভুল ত্রূটিগুলো স্মরণ করে I এই মানুষগুলো কিংতু একটা সময় ভালোবাসার রং এ নিজেদের রাঙ্গিয়ে রাখত কিন্তু আজ তাদের রাত কাটে ৬ ফিট / ৭ ফিট বিছানার এপাশ ওপাশ I এখন হয়তো ওদের ভালোবাসার রংধুনুতে সাতরং এর মিলন হয় না কিন্তু কোথায় জানি ভালোবাসার ছিটেফোঁটা এখনো দুজনকে বেঁধে রেখেছে I গল্পের শুরুটা আজ থেকে একযুগ আগে, মামুন আর মৌমিতা দুজনের নামের যতটাই না মিল একযোগে পর এখন ততটাই অমিল I মামুন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডানপিটে যুবক আর মৌমিতা স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে ভর্তি হবে I বাবা মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে দুজনের প্রেম তখন সপ্তম আসমানে, হওয়াটাই স্বাভাবিক দুজনের চোখে ভালোবাসার পবিত্র বন্ধন যেন একটাই কষ্ট “দূরত্ব”I মামুন শহরের একপ্রান্তে মৌমিতা অন্য প্রান্তে, যদিও মামুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরে যার কাছাকাছি মৌমিতার কলেজ সে সুবাদে দুজনের ডেটিং করাটা সহজ ছিল কিন্তু বাধা ছিল মৌমিতার মা, ভদ্রমহিলা একটু বদমেজাজি, প্রায় নাকি মৌমিতাকে মারধর করতো তারপরও ভালোবাসা বলে কথা I মামুন মৌমিতা দুইজনই তাদের ভালোবাসা আর ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই পসিটিভ I আর আমরা সবাই কম বেশি জানি প্রতিটা ভালোবাসার পসিটিভনেস এর মধ্যে একটা অশ্বিনী শংকেট থাকেই I অবিশ্বাসী কেও একজন সেই ভালোবাসার বাগানএ বিষ ঢেলে দিয়ে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছিলো মামুন আর মৌমিতাকে I যে সময় মামুনের হাতে থাকার কথা প্রিয়তমার ছবি সে সময় তার হাতে শোভা পায় মদের বোতল আর বেনসন এর সর্বনাশা ধুয়া I ধোঁয়ায় যেনো মামুনের স্বপ্নগুলো উড়িয়ে দেয় আর বাতাসে মিশে যায় অনুভূতিগুলো I আর মৌমিতার স্বপ্নের ধুম্রজালে জরাজীর্ণ অনুভূতিগুলো অশ্রুর সাগরে ভেসে যায় I শফিক সাহেব আর উনার স্ত্রী মানে মামুনের মা দিলারা, ভদ্রমহিলা শুরুতে কিছুটা সম্মতি তাকলেও পরবর্তীতে এই প্রেমের বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু মৌমিতার মা ঝামেলা করলেও কিছুটা নমনীয় হয় I মৌমিতারা দুই বোন ছোটবোন নির্ঝরা খুবই কোঅপারেটিভ আর মৌমিতার মা সালমা বেগম একটু বদমেজাজি আর জাভেদ সাহেব ঠান্ডা মেজাজের I প্রেমের ক্ষেত্রে বাবারা সবসময়ই বাধা হয় কিন্তু জাভেদ সাহেবের এই বেপারে বিন্দু মাত্র ব্রূক্ষেপ নাই I যায় হোক মামুন পড়াশোনা করে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্টানএ চাকরি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছিলো আর মৌমিতা কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত I ভালোবাসার পথের বাধা ঊপেক্ষা করে মামুন মৌমিতা কিছুটা সময় লুকিয়ে দেখা আর রাত জেগে কথা বলা চালিয়ে যাচ্ছিলো এই প্রেমের বাধাই সবচেয়ে উপকারী ভূমিকা যে পালন করে সে মৌমিতার বোন নির্ঝরা I এই ভাবে পেরিয়ে গেলো তিন চার বছর I মামুনের পরিবার একদমই রাজি না মৌমিতার সাথে মামুনের বিয়ের I তিনদিন হল মামুন বাড়ি থেকে বেরয়নি। নতুন যে কাজটা পেয়েছে, সেখান থেকে ছুটি নিয়েছে। বাড়ির লোক ভাবছে, হয়তো শরীরটা খারাপ। খোঁজখবর নেবে ভেবে জিসান একদিন বাড়িতে হাজির হল। সে মামুনের একেবারে বাচ্চাবেলার বন্ধু। একই সঙ্গে ওঠাবসা। ঘরে ঢুকে মামুনকে জিজ্ঞেস করে, ‘‘কেমন আছিস? শুনলাম ঘর থেকে বেরনো বন্ধ করে দিয়েছিস?’’ মামুন উত্তর দেয়, ‘‘কী করব বল, অক্ষম পুরুষ। ভিতরে-ভিতরে জ্বলে-পুড়ে মরছি। এদিকে বন্ধুবান্ধব যার সঙ্গেই দেখা হয় সেই বলছে যে মৌমিতার ব্যাপারটা আমি যেন সহানুভূতির সঙ্গে বিচার করি। ওর নাকি আর কিছু করার ছিল না। অর্থাৎ, “তুমি যে চাকরি পেয়েছ তাতে বউকে সমস্ত সুখ-সুবিধে দিতে পারবে না। মৌমিতার ফ্যামিলি কেনইবা তোর সাথে বিয়ে দিবে আর তোর বাবা মা ও তো রাজি না, কথাটা অস্বীকারও তো করতে পারি না। জিসান বলল, ‘‘তোর মাইনের টাকায় সংসার চালানো একেবারে অসম্ভব নয়, তবে কষ্ট আছে। তা, মৌমিতার শেষ কথাটা কী?’’ মামুন বলল, ‘‘মৌমিতা বলেছে এই চাকরিতে মা বিয়েটা মেনে নেবে না, আর তোমারও অনেক কষ্ট হবে আর তোমার বাবা মা ও আমাদের তাদের সাথে রাখবে না আমরা কি ভাবে সংসার গোছাবো? কি ভাবে কি করবো মামুন, তোমাকে ছাড়া আমি অন্য কাওকে চিন্তাও করতে পারি না I ’’ জিসান বলে, ‘‘মামুন, তোর কম রোজগার এটা মেনে নিয়েও বলছি, যারা বিয়ের সময় বাবা-মা মেনে নেবে না বলে পিছিয়ে আসে তাদের মতো শয়তান আর কেউ হয় না। ও যেদিন তোকে প্রপোজ় করেছিল, সেদিন কি বাবা মা-কে জিজ্ঞাসা করে করেছিল নাকি তুই তোর বাবা মা কে জিজ্ঞাস করেছিলি? নাকি যে চারবছর তোর সঙ্গে প্রেম করল, ঘুরে বেড়াল, সেসব বাবা মায়ের অনুমতি নিয়ে করেছে? মামুন বলে, ‘‘বিশ্বাস কর জিসান, ও একটু আধুনিকা হতে পারে, কিন্তু ওর মতো ভাল মেয়ে আর হয় না। আমার প্রতি ওর ভালবাসা নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই।’’

মৌমিতা মামুনকে মন থেকেই ভালবাসে। প্রথম দিনই যখন শুনল যে তার জন্য মা পাত্র ঠিক করেছে তখনই সে মাকে মামুনের কথা খুলে বলে। সালমা বেগম মামুনের রোজগার শুনে রাজি হয়নি। উলটে তার দেখা বিশাল রোজগেরে পাত্রকে বিয়ে করলে জীবনে কত সুখ-সুবিধে ইত্যাদির কথা ফলাও করে বর্ণনা করেছে। শেষে যখন মৌমিতা প্রচণ্ড কান্নাকাটি শুরু করল, তখন মা তার জানা কয়েকটা ঘটনার কথা উল্লেখ করল, যার সারার্থ এই যে : কোনও-কোনও মেয়ে আবেগের বশে পছন্দের ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় বটে, কিন্তু তাতে অনেকেই না-খেয়ে মরে। আবার কেউ প্রতারিত হয়ে ফিরে আসে। যখন মৌমিতা তাতেও মানল না তখন মা জানিয়ে দিল যে তার কথা দেওয়া হয়ে গেছে। অতএব, শীঘ্রই মৌমিতার বিয়ে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মৌমিতার। কিন্তু সে এও জানে যে মা যে গল্পগুলো তাকে বলেছে সেগুলো খুব ভুল বা মিথ্যে গল্প নয়। মামুনের ভালবাসা নিয়ে তার বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই, কিন্তু ভবিষ্যতে সংসার খরচ কতটা চালাতে পারবে তা নিয়ে সে দৃঢ়তার সঙ্গে এখনই কিছু বলতে পারবে না আর মামুনের বাবা মারতো মৌমিতাকে নিয়ে একদমই পসিটিভ না। রাতদিন সে পুরনো কথা ভেবেছে আর চোখের জল ফেলেছে। তার মনে পড়ে, কলেজে ঢোকার সময় তার বয়ফ্রেন্ডের অভাব ছিল না। আশিক ,রাসেলের মতো নানা ছেলের সঙ্গে তার ওঠাবসা ছিল। কিন্তু কারও সঙ্গেই তার মনের আদানপ্রদান হয়নি। কিভাবে যেন মামুনের প্রতি তার ভালোবাসা জন্মায় আর দিন দিন তা গভীর হয়। এই ভাবে তাদের দিন আর রাত কেটে যায় মামুন মৌমিতার চোখে হতাশা আর অশ্রুর আলিঙ্গন।দুজনে রাত জেগে অশ্রু দিয়ে বালিশ ভিজিয়ে জীবনে প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির হিসাব মিলানো শুরু করলো। কিছুটা দূরত্ব চলে আসলো, দুই জনই দিনের বেলায় সবার সামনে স্বাভাবিক দেখায় আর রাত এলেই কষ্টগুলো নাড়া দেয় আর সারারাত যন্ত্রনা দিয়ে ভোরের আলোয় মিলিয়ে যায়।

মামুনের উদাসীনতা দেখে বাবা শফিক সাহেব মামুনকে জাপান পাঠানোর প্রস্তাব দিলো, মামুন টেলিকম্যুনিকেশন ইংজিনিয়ারিং এ স্নাতক পাস্ করা, শফিক সাহেব ভাবলেন ছেলে জাপান গেলে ক্যরিয়ার ডেভেলপ করতে পারবে আর মৌমিতাকেও ভুলে থাকতে পারলো। মামুনও যাবার জন্য মোটামোটি মনস্থির কিন্তু মৌমিতা বাধা হয়ে দাঁড়ালো, মামুনকে সে ছাড়বেই না, মামুন ছাড়া সে বাঁজবে না। মামুন চলে গেলে সে আর মামুনকে ফিরে পাবে না এই চিন্তায় মৌমিতা মামুনকে বললো " আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে বাঁচবো মামুন, আমাকে নিয়ে যাও নইলে মেরে যাও, তোমাকে ছাড়া আমার আত্মহত্যা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না, I LOVE YOU SO MUCH " প্রত্যেক দিনের শুরুতে তোমায় মনে ভেবে দিনকে আলোকিত করি, প্রত্যেক বিকেলে তোমাকে গোধুলী আকাশে মনের মত করে সাজাই, প্রত্যেক সন্ধায় শুক তারার মত করে আমার পাশে তোমাকে রাখি, প্রত্যক রাতে তোমায় ভেবে আমার স্বপ্ন রঙ্গিনবানাই, এভাবে আমার একটা দিন সর্ম্পূন হয়। য়ার শুরুতে তুমি থাকো আর শেষে ও তুমি থাকো। তাই সব সময় আমি তোমাকে নিয়েই থাকতেচাই।..........To be cont.